জানিনা কে বা কারা দেশকে এবং দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে? গত চার মাসে WHO প্রতি নিয়ত তাদের বক্তব্য পাল্টাচ্ছে কাদের ঈশারায়? মানুষকে এতো ভয় দেখানো বা বিভ্রান্ত করার কারণ কী? এতে কাদের সুবিধা হচ্ছে? গত চার মাসে ঘরবন্দি থেকে যা উপলব্ধি করেছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
নোবেল করোনা ভাইরাস একটি RNA ভাইরাস বলেই জানি, RNA ভাইরাসের আবার ভ্যাকসিন? আজ অবধি কটা বেরিয়েছে? এটা দেখছি, করোনার কোন ওষুধ নেই, অথচ বেসরকারি হাসপাতালের বিল বারো লাখ, কি এতো দুর্মুল্য ওষুধ, যে তার খরচ বারো লাখ?
আমার একজন পরিচিত করোনা হয়ে হসপিটালে ভর্তি হলো, সাত দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরলো, জিজ্ঞেস করলাম কতো খরচ হলো? বললো দু-লাখ পঞ্চাশ, যে রোগের কোনো ওষুধ নেই, সেই রোগ সারাতে কী ওষুধ দিলো? যার বিল হলো দু-লাখ পঞ্চাশ? গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, এখন যে ব্যাক্তি করোনা টেস্ট করাবে, তাকে পজিটিভ বলা হবে, লক্ষন থাকলে বলবে সিম্টোমেটিক আর লক্ষন না থাকলে বলবে অ্যাসিম্টোমেটিক, কদিন আগেও সিমটমের কথা বলা হচ্ছিল এবং সিমটম নেই মানে নেগেটিভ, কিন্তু তাতে সুবিধা হচ্ছিল না, তাই ভাষা পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষকে গুলিয়ে দেওয়া হলো। আমি ডাক্তার বা ভাইরোলজিস্ট নই, জিজ্ঞেস করছি মাত্র ! যে ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে অনবরত তার চরিত্র পরিবর্তন করে যাচ্ছে, তাকে মারার জন্য অস্ত্র তৈরি হবে? সত্যিই হয় কি আদৌ? নাকি সবটাই লোক দেখানো? সবটাই মিথ্যে?
ধরা যাক করোনা একটা বাঘ, তাকে মারার জন্য তৈরি হলো একটা রাইফেল, কিন্তু ততক্ষণে বাঘ নিজেকে পরিবর্তন করে হয়ে গেছে ‘গন্ডার’ কিভাবে গন্ডার ঐ রাইফেলে মরবে? এবার ধরা যাক গন্ডার মারবার জন্য তৈরি হল এক কিলিং ট্যাংক, গন্ডার তার শরীরকে এবার পরিবর্তন করে নিলো হাঙ্গরে। এবার ঐ ট্যাংক কি হাঙ্গর মারতে পারবে?
নাটক, মানুষকে ঘর বন্দি করে রেখে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করছে। চিনের কোনো খবর বা ছবি ওদের দেশের বাইরে যায় না, ওদের দেশে গুগল বা ফেসবুকও নেই, কিন্তু জানুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে ফেসবুকে শুধু চিনের মৃত্যুর ভিডিও ছড়াছড়ি, কোথা থেকে এলো, কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলো? এখন আসছে না কেন? একবার ভেবেছেন?
কিন্তু এই সুযোগে কোটি কোটি টেস্টিং কিড আর ভেন্টিলেটর সারা পৃথিবীতে রপ্তানি করে দিলো চিন, এতো কম সময়ে এতো উৎপাদন করলো কি করে? পরিকল্পনা মাফিক এসব তাদের যদি মজুতই না থাকবে? কি? ব্যাপারটা সুপরিকল্পিত মনে হচ্ছে?
আচ্ছা, সুইডেন সহ পৃথিবীর ২১ টা দেশ লকডাউন করেনি। তাদের দেশে করোনায় আক্রান্ত বা মৃত্যুর পরিসংখ্যানটা একবার দেখেছেন কেউ? মিডিয়া সেটা প্রচার করছে না, অথচ তাদের মৃত্যুর হার লকডাউন করা দেশের মতোই, ভিয়েতনামে করোনায় কোনো মৃত্যুই নেই, কিন্তু কেন? তাহলে কি লাভ হলো আমাদের লকডাউন করে? কার বা কাদের লাভের উদ্দেশ্যে এই লকডাউন?
এরই মধ্যে ফুলে ফেঁপে উঠলো কিছু বড় কোম্পানির স্যানিটাইজার এর ব্যবসা, যে জিনিসের সাথে সাধারন মানুষের পরিচয়ই ছিলো না, হুড়হুড় করে তৈরি হয়ে গেলো কোটি কোটি PPE !! শুধুমাত্র মানুষকে ভয় দেখানোই এখন মিডিয়ার প্রধান কাজ। গত ০৩.০৮.২০২০ তারিখে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলাম একটা টেস্ট করাতে, দেখলাম প্রতিবছর শুধুমাত্র কিডনি ফেইল হয়ে ৩,৬০,০০০ মানুষ বাংলাদেশে মারা যায়। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০০ মানুষ কিডনি জটিলতায় মারা যাচ্ছে। অন্যান্য সব যোগ করলে কতো হতে পারে! আমার অনুমান ১০০০ এর নিচে না। খুব সম্ভবত করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ দিনে মৃত্যু ৬০ অতিক্রম এখনো করে নাই।
বিশ্বাস করুন, এখন কোন মৃত্যুর গন্ধ আর পাচ্ছি না! পাচ্ছি শুধু কিছু রাষ্ট্র আর খুব বড় বড় ধনকুবেরদের ব্যবসার গন্ধ, যারা আমাদের সঞ্চালক !! সাধারন মানুষ আমরা, অর্থাৎ আদার ব্যাপারি। জাহাজের খবর না রেখেও বলতে পারি, আগামী দিনে কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না, বাঘের পিঠে চড়ে বসেছে, ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে আমাদের দেশ, সঙ্গে আমরাও, এখন এর পিঠ থেকে নামা খুব শক্ত।
মৃত্যুর হার যেখানে মাত্র ২.২%, সাময়িক ঝিমোনো অর্থনীতির জন্য যাদের পকেটে মোটা অঙ্ক কিছু ঢুকছিলো না, মানুষকে ঘর বন্দি রেখে করোনা ব্যবসা করে নিলো তারা।
তাই সচেতন হোন, গত চার মাসে আপনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা মানুষকে জানান, পারলে বলুন, লিখতে না পারলে করোনা সংক্রান্ত কোনো ভালো লেখা বা ভিডিও শেয়ার করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন… নিউজ চ্যানেলে করোনা সংক্রান্ত পজিটিভ খবর নেই কেনো? কেনো WHO সমানে নিজেদের বক্তব্য পাল্টাচ্ছে? সব পুঁজিবাদী রাষ্ট্র চুপ কেন? যখন কোনো ওষুধ নেই, তারপরেও প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো লাখ লাখ টাকা বিল করছে কেনো?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে যে কীটগুলো রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে এগুলো যেনো আরো দ্রুত শাস্তির আওতায় আসে, এটাই কামনা।
লেখক : শহিদুল্লাহ রায়হান
উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।