অনলাইন ডেস্ক: ক্যাপসিকাম সারা বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত এবং বিভিন্ন ধরণের রান্নায় এর ব্যবহার হয়। এগুলি নানান রকমের রং-এর হয়ে থাকে। যেখানে সবুজ আর বেগুনী ক্যাপসিকামগুলি সামান্য তেঁতো স্বাদের হয়ে থাকে, সেখানে লাল, হলুদ ও কমলা রং-এর গুলি মিষ্টি হয়।
ক্যাপসিকাম শুধুমাত্র আকর্ষনীয় ও সুস্বাদুই নয়, বরং এর মধ্যে নানারকম পরিপোষক উপাদান যেমন ভিটামিন-এ, সি এবং কে, ফাইবার, ক্যারাটোনয়েডস, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। আমাদের শরীরের জন্য ক্যপসিকামের নাননা উপকার এখানে তালিকা করে দেওয়া হল, আসুন দেখে নেওয়া যাকঃ
১. ত্বক ও হাড় জন্য ভালো: ক্যাপসিকামের মধ্যে ভিটামিন সি থাকায় চোখ এবং ত্বককে ভালো রাখে। ভিটামিন-কে রক্ততঞ্চনে সাহায্য করে। এটা হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
২. চোখের জন্য সহায়কঃ ক্যাপসিকামে সমৃদ্ধ পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে, যা চোখের জন্য বিশেষত রাত্রিকালীন দৃষ্টির জন্য ভাল। আমরা যদি নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাই তবে এতে উপস্থিত ক্যারোটেনয়েডের কারণে, বয়স জনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা ম্যাকিউলার ডিজেনারাইজেশনের সম্ভাবনা কমে যায়। এতে উপস্থিত ভিটামিন-সি ও ক্যারোটিন, একে চোখের ছানির বিরুদ্ধে একটি খুব ভাল এজেন্টে পরিণত করে।
৩. বাত প্রতিরোধ করে: ক্যাপসিকাম বাতের মতো সমস্যার প্রতিরোধ করে। সিনকোনা নামক জড়িবুটির সাথে ক্যাপসিকাম খেলে, তা গেঁটে বাত ও রিউমেটিক আর্থারাইটিসের উপশমে খুব ভাল কাজ করে।
৪. আয়রনের অভাবের সাথে লড়তে সাহায্য করে: ক্যাপসিকাম ভিটামিন-সি এর একটি মূখ্য উৎস, যা আয়রনের শোষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি রক্তাল্পতার মতো রোগও প্রতিরোধ করে।
৫.ওজন কমাতে: যদি ওজন কমাতে চান তা হলে খেতে পারেন সবুজ ক্যাপসিকাম।
৬. হজমে সাহায্য করে: যারা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য সবুজ ক্যাপসিকাম খুবই ভালো। এটি পাকস্থলীর আলসার বা ঘা সারাতেও সাহায্য করে।
৭. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে: ক্যাপসিকাম ডায়াবেটিস নিয়িন্ত্রণ করতেও কার্যকর এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে।
৮. ক্যানসার প্রতিরোধে: ক্যানসারের ওসুধ হিসেবে দারুণ উপকারী সবুজ ক্যাপসিকাম অথবা বেলপেপার।
৯. চুলের বৃদ্ধিতে: চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে প্রায় সকলেই ভুক্তভোগী। কিন্ত ক্যাপসিকাম সেই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
১০. ৬-৭ টুকরো ক্যাপসিকাম গরম জলে সেদ্ধ করে নিন। আর ৩-৪ টুকরো শুকনো ক্যাপসিকাম একসঙ্গে পেস্ট করে একটি হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিন। এর পরে ১২-১৫ মিনিট মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ফেলুন।
১১. অনাক্রমতাকে উন্নত করে: ক্যাপসিকামে উপস্থিত ভিটামিন-সি আমাদের অনাক্রমতা বা ইমিউনিটিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বেল পেপারের সাদা ঝিলিতে পাওয়া ক্যাপসায়াসিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এর ফলে অনাক্রমতা উন্নত হয়।