কমল সরকার’ গৌরীপুর: ময়নমসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছেন কুমরী (গ্রামের পশ্চিম অংশ) কুশ্বাপাড়া ও নয়ানগর গ্রামের অর্ধশত এলাকাবাসী। নদী পারের স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গনের কবলে রয়েছি। কিন্তু আমাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসে না । উল্লেখিত গ্রামের সুরিয়া নদীর ২শ ফুট জায়গা যদি কেটে দেওয়া হয় তাহলে রক্ষা পেতে পারে দুই গ্রামের মানুষ। গত বছরেও অনেক ফসলি জমি রাস্তা এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে যায় । মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী, কুশ্বাপাড়া ও মাওহা নয়ানগর গ্রামের মানুষ মনে করছেন নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কয়েক একর আবাদি জমি,নয়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঈদগাহ মাঠ, রাস্তা নদী গর্ভে চলে যাবে। (২৩) শে জুন মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার উল্লেখিত গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটা,শিক্ষা প্রতিষ্টান, ঈদগাহ মাঠ, রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । কুশ্বাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রহমত উল্লাহ জানান আমার এ পর্যন্ত ১ একর আবাদি জমি সুরিয়া নদী গর্ভে বিলীনসহ আমার বসতবাড়িটি অর্ধেক নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে যেটুকু আছে সেগুলোও কখন জানি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলা যায়না। একই গ্রামের আব্দুল জব্বার জানান আমার ৫০ শতাংশ জমি এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আরও যাওয়ার পথে। আমার মত অনেকের জমি নদী গর্ভে চলে গেছে । সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘের সাবেক সভাপতি আজহারুল করিম জানান নদীতে দুই গ্রামের লোকজনের বসত ভিটা, আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে কেউ দেখার নেই।
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা ও মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা আতংকে থাকি দুই গ্রামের অর্ধশত পরিবার। রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, ঈদগাহ মাঠ, গ্রাম প্লাবিত হয়ে নদী গর্ভে কখন বিলীন হয়ে যায় আল্লাহ জানে। তিনি নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। নয়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুছ জানান বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৫ শতাংশ জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে বিদ্যালয়,ঈদগাহ মাঠ ফসলি জমি বাড়ি ঘর, রাস্তাসহ নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ২শ ফুট নদী যদি কেটে দেয়া হয় তাহলে রক্ষা পেতে পারে এই গ্রামের মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান নদী ভাঙ্গনরোধে আমাদের কিছু করনীয় নেই এটার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যেন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।