কি ভাবছি জানিনা। কি করছি কখনও জানিনা। চেতনার মাঝেই আমি অবচেতন ক্ষণেক্ষণে। এটাই আমার এ মুহুর্তের বাস্তবতা। জীবন ভাবনা আমার একটা রুটিন জবের মতো। রোজকার কাজ শেষে জীবনের অঙ্ক করাই আমার কাজ কিন্তু এতোটা বছর ধরে জীবনের অঙ্ক করেই চলেছি তবুও এর কোন সুরাহা করতে পারলাম না।
ছোট বেলায় আমি গণিতে সাধারন ছিলাম। কোনকিছুতেই আমি কখনো অসাধারন নই। শুধুই টিকে থাকার যোগ্যতা নিয়েই আমি মহাখুশি ছিলাম সবসময়। আমার গণিত গুরু, আমার একাডেমিক শিক্ষার বড় ভুমিকা যার তিনি আমার পরম শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। বড় ভাই জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে নির্ভুলভাবে। সে শিক্ষা কাজে লাগিয়েই চলছি কিন্তু আমার বড্ড অভিমান হয় ভাইয়ের প্রতি কেন জীবনের হিসাব মেলাতে শেখায়নি আমাকে।
এই যে নিয়ত ছুটে চলা তা কেন? কিসের জন্য বাচি আমরা আর কেন ই বা শুরু না হতেই শেষ হয়ে যাই? কেন আমরা সংসার সংসার খেলি? কেন আমরা উদাস হই আবার কেন ই বা আশার বাসা বাধি অহর্নিশ? কেন আমরা গল্প হই কিংবা হয়ে উঠি গল্পের মধ্যমনি? আমাদের অর্জনই বা কেন আবার বিসর্জনের বা কেন প্রয়োজন হয়? আমরা কেন জেতার নেশায় মরিয়া আবার কেন ই বা আমরা হেরে যাই? কেন ক্ষমতার প্রতি লোভ কেন ই বা আক্রোশ কিংবা হিংসা অথবা লোভ বা লালসা? কেন আমরা উদার হই কেনই বা আমরা ছিনিয়ে নেই অমানবিকতায়? কোন কার্যকারন যখন সামনে আসেনা তখন অংক ক্রমাগত জটিল হয়। এই সমীকরন মিলবার নয়।
অনাগত দিনের ভাবনা ভেবে ক্লান্ত হই আবার আজকের আমির মধ্যে গতোকালের হতাশাদের আশ্রয় দেই। সম্ভাবনার রাস্তা খুজি তার মধ্যেই লুকিয়ে রাখি অসুখ। অসুখের গল্প লুকিয়ে সুখের অবয়ব ধারন করি। একটা পাড় আকড়ে ধরি বাচাঁর জন্য- সে পাড় ভেঙে যায় তারপর শুধুই ভাসি আর ভাসি!
কি অদ্ভুত ভাসমান এই জীবন
কি অদ্ভুত চলমান সময়ের সমীকরন-আমি কেন মেলাতে পারিনা?
লেখক: রেবেকা সুলতানা, অনারারী নির্বাহী পরিচালক, অন্যচিত্র উন্নয়ন সংস্থা।