অনলাইন ডেস্ক : মনসিংহের গৌরীপুরে পিতা ২৭ বছর এবং ছেলে ১০ বছর যাবৎ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ‘কাসেম ভাইয়ের চিন্তাধারা-গরির দুঃখীর সেবা করা’- এমন ব্রত নিয়ে ১৯৭৪ সালে গৌরীপুর পৌরসভায় প্রথম কমিশনার নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর তিনি একে একে পাঁচবার কমিশনার নির্বাচিত হন। বাবার দেখানো পথে হাঁটেন তার বড় ছেলে আব্দুল কাদির। তিনিও দু’বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এ ওয়ার্ডে জনমানুষের ৩৭ বছরের প্রতিনিধি পিতা-পুত্র।
জানা গেছে, গৌরীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ভালুকার মরহুম আব্দুর রহিমের পুত্র মো. আবুল কাসেম। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালে। ১৯৬৬ সালে রাবেয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ব্যবসা আর কৃষি কাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদের সঙ্গী হয়ে উঠেন আবুল কাসেম।
নিজের জীবনের কথা চিন্তা কখনও করেননি তাই সাধারণ মানুষের প্রিয়মুখে পরিণত হন। ১৯৭৪ সালে পৌরসভার নির্বাচনে কমিশনার পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এরপর তাকে কখনও পরাজয়বরণ করতে হয়নি। টানা ৫বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। মানুষের সেবা করার ইচ্ছা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তিনি আর নির্বাচন করেননি। আক্ষেপ করে আবুল কাসেম বলেন, আমি কমিশনার থাকাকালে এলাকায় পুলিশ আসতে হয়নি, এত খুন, হিংসা-বিদ্বেষও ছিল না। সে সময়ে সালিশ দরবারে গেলে মীমাংসা না করে আসিনি। এখন সব কেমন যেন পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ কমে যাচ্ছে, দরদ কমছে, ভালোবাসা কমছে- বাড়ছে অর্থ, বাড়ছে দ্বন্দ্ব- এ থেকে সমাজকে মুক্ত করা জরুরি। দাম্পত্য জীবনে দুই পুত্র আর তিন কন্যার জনক তিনি। জনসেবার পাশাপাশি সন্তানদেরও সুশিক্ষিত করে তোলেন। বড় ছেলে আব্দুল কাদির পৌরসভার কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী, দ্বিতীয় পুত্র আব্দুর রহমানও ব্যবসায়ী। তিন মেয়ে পান্না আক্তার, স্বপ্না আক্তার ও রুনা আক্তার।
এ দিকে বাবার জনসেবার হাত ধরেই পৌর কাউন্সিলর ২০১০ সালে নির্বাচিত হন আব্দুল কাদির। বর্তমানে তিনি কাউন্সিলর। তিনি টানা দুইবার নির্বাচিত হন। আব্দুল কাদির বলেন, বাবার দেখানো পথে হাঁটছি। বাবা ও মায়ের নামে এককা্টইন্সলর স্কুল করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি সাদেক মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তিনি আরও বলেন, মানুষের ভালোবাসার জন্য রাত-দিন পরিশ্রম করি। চেষ্টা করি প্রত্যেকটি মানুষের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়াতে। ভবিষ্যতেও থাকব সেই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুল কাদির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন খন্দকার ফারাহ দীবার সঙ্গে। দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে কাশফিয়াতুজ জাহান কৌশি ৯ম শ্রেণিতে ও আর পুত্র সিদরাতুল মুনতাহার রেদোয়ান ৩য় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তথ্যসুত্র :যুগান্তর