ঈদের আমেজে সবাই যখন ছুটছে নাড়ীর টানে নিজ গন্তব্যে তখনই মানবতার সেবী একঝাঁক তরুণ খোঁজ রাখছে হাসপাতালের বিছানায় আশ্রয় নেয়া রোগীদের৷ পার্বত্যাঞ্চলের সর্বপ্রথম অনলাইন ব্লাড ব্যাংক Jibon“জীবন” এর সদস্যরা আজ ১১ আগস্ট ২০১৯ রাঙামাটি সদর হাসপাতালে রোগীদের খোঁজ খবর নিতে সকালে হাসপাতালে পৌঁছে যায়৷
রাঙামাটিতে এপর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছে৷ সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার জানান, তরুণদের এমন সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান তাঁকে অনেক বেশী অনুপ্রাণিত করেছে৷ তিনি সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচারে নিয়োজিত থাকায় Jibon”জীবন” কে ধন্যবাদ জানান৷
তিনি বলেন, গতবছর রাঙামাটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিলো ১২১ জন৷ এবছরের শুরু থেকে জেলা প্রশাসন, রাঙামাটি পৌরসভা, জেলা পরিষদ এর সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে৷ এবার সদরে ৩০ জন এবং কাপ্তাই চন্দ্রঘোনায় ৩জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন৷
তিনি সরকারী বরাদ্ধের কথা উল্লেখ করেন এবং হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তকারী প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কথা নিশ্চিত করেন৷ তিনি তিন দিনের বেশী জ্বর থাকলে এবং ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সন্দেহ হলেই হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর জন্য রাঙামাটিবাসীকে অনুরোধ করেন৷ Jibon”জীবন” এর স্বেচ্ছাসেবকদের তিনি তাঁর সাথে সহযোগিতা করার আহবান জানান৷ রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সৈকত চাকমা জানান, হাসপাতালে যত্নের সাথে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং ঈদের ব্যস্ততার মাঝেও রোগীদের যাবতীয় দেখাশোনা করার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
আবাসন সমস্যা সমাধানে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের যাবতীয় উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি৷ Jibon“জীবন” এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি এধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ডাঃ সৈকত৷ তাঁর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সংগঠনটিকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি৷ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারে Jibon”জীবন” এর ভূমিকার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান৷ পরবর্তীতে রোগীদের কাছে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার ও সেবার মান যাচাই করে সংগঠনের সদস্যরা৷ হাসপাতাল ও তার পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক সচেতনতা ও প্রচারাভিযান পরিচালনা করে Jibon”জীবন”৷
ঈদে পরিচ্ছন্নতা ও গবাদি পশুর উচ্ছিষ্ট যথাস্থানে ফেলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে Jibon”জীবন” এর সদস্যরা৷ Jibon”জীবন” এর পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনূছ সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি), সমন্বয়ক মোবারক হোসেন রানা সহ সংগঠনের কার্যকরী সদস্যরা৷